কোভিড সংক্রমণের মৃদু উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান এক ব্যক্তি। কয়েক দিন হাসপাতালে রাখার পরে সম্পূর্ণ সুস্থ ঘোষণা করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তার দু’-তিন দিন পর থেকেই অন্য সমস্যা দেখা দেয় তাঁর। মলদ্বারের কাছে অস্বস্তি হতে শুরু করে। ফের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি জানান, আক্রান্ত ব্যক্তি ‘রেস্টলেস অ্যানাল সিন্ড্রোম’ নামক অসুখে আক্রান্ত।
হালে এমন ঘটনা ঘটেছে জাপানের রাজধানী টোকিয়োয়। কোভিড সংক্রমণ থেকে ৭৭ বছরের এক বৃদ্ধ মলদ্বারের বিরল সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই সমস্যার সঙ্গে অর্শের কিছু মিল থাকলেও, এটি পুরোপুরি অর্শ নয়। এমনই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল থেকে বাড়ি আসার দু’-তিন দিনের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তি মলদ্বারের কাছে অস্বস্তি অনুভব করেন। বার বার শৌচালয়ে গিয়েও সেই সমস্যা না কমায়, তিনি চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। আক্রান্ত ব্যক্তির অর্শের সমস্যা আছে। চিকিৎসক জানান, সেই অর্শের সমস্যাই আরও কিছুটা বেড়ে অন্য আকার নিয়েছে। মলদ্বার এবং যৌনাঙ্গের মধ্যবর্তী একটি স্থানের স্নায়ুর সমস্যা দেখা দিয়েছে। একেই বলা হয় ‘রেস্টলেস অ্যানাল সিন্ড্রোম’।
কী এই সমস্যা? অনেকে ‘রেস্টলেস লেগস সিন্ড্রোম’ নামক সমস্যায় আক্রান্ত হন। সে ক্ষেত্রে পা সারা ক্ষণ নড়াচড়া করতে চায়। না হলে অস্বস্তি হতে থাকে। ঘুমের মধ্যেও পা নড়তে থাকে। ‘রেস্টলেস অ্যানাল সিন্ড্রোম’-এর ক্ষেত্রে একই সমস্যা হয় মলদ্বারের পেশিতে। হাঁটাচলা, দৌড় বা ভিডিয়ো গেম নিয়ে ব্যস্ত থাকার সময়ে এই সমস্যা বিশেষ টের পাননি বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত। কিন্তু বিশ্রাম নিতে গেলেই সমস্যা ফিরে এসেছে।
আক্রান্তকে শেষ পর্যন্ত ঘুমের ওষুধ দিতে বাধ্য হয়েছেন চিকিৎসকরা। শুরু হয়েছে মলদ্বার এবং তার চারপাশের স্নায়ুর চিকিৎসাও।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন